
নয়াদিল্লি: গ্রেটা থানবার্গ একজন কিশোরী জলবায়ু কর্মী, ভারতে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুইটারে শেয়ার করা “টুলকিট” সম্পর্কিত অভিযোগে বেঙ্গালুরু থেকে এক ২১ বছর বয়সী জলবায়ু কর্মী দিশা রবি কে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লী পুলিশ। দিশা রবি “ফ্রাইডে ফর ফিউচার” প্রচারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। দিশা রবির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে তিনি টুলকিট টি সম্পাদনা করেছিলেন এবং সেটিকে সামনে এগোতে যথারীতি সাহায্য করে। এর আগেও দিল্লি পুলিশ বলেছিলেন যে “টুলকিটের” আবিষ্কর্তা ও প্রচারকরা সবাই খালিস্তানী গ্রূপের।
৪ ফেব্রুয়ারি, দিল্লি পুলিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থানবার্গের টুইট করা টুলকিট সম্পর্কিত একটি মামলা দায়ের করেছিল। প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর সমাবেশ চলাকালীন বিশৃঙ্খলা ও অহিংসার পরে, গ্রেটার টুইট প্রতিবাদের দিকে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণ করে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে এই টুলকিট টি সহিংসতা ছড়ানোর আগে এটি একটি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পাওয়া গেছে এবং এটি ২৬ জানুয়ারির ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়।
দিল্লি পুলিশের অবলা জবানী “আমরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মামলা দায়ের করেছি – কারণ আন্তরাষ্ট্রীয় কেউ রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিষয়ে এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তিতে লোকজনের মধ্যে বৈষম্য এবং এই জাতীয় পরিকল্পনার রূপ দেওয়া একটি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র,”
তদন্তের পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ গুগলের কাছে সাহায্য চেয়ে বসে গুগল কে জানায় কিছু সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টদের যারা “টুলকিট” এর নির্মাতাদের সাথে সম্পর্ক রাখে সেরকম কিছু বেক্তিগত ইমেল আইডি, ইউআরএল বা কয়েকটি সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য আমাদের কে প্রদান করুন, কারণ পুরো বিষয়টির সুরুয়াত করার জন্যে নির্মাতারা গুগল দ্বারা টুলকিট টি “গুগল ডকের” মাধ্যমে আপলোড করে এবং পরে টুইটারে শেয়ার করেছিল।
পুলিশ জানিয়েছে যে তারা “টুলকিট” এ উল্লিখিত ইমেল আইডি, ডোমেন ইউআরএল এবং কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে বিশদ চেয়েছিল। এবং পরে, কেন্দ্র টুইটারকে ১,১৭৮ টি অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে বলেছিল, টুইটার কারণ জানতে চাইলে কেন্দ্র সূত্রে জানাগেছে যে কৃষকদের আন্দোলনে ভুল তথ্য এবং উস্কানিমূলক সামগ্রী ছড়িয়ে দিচ্ছে।
৩-রা ফেব্রুয়ারি, গ্রেটা থানবার্গ টুইটের মাধ্যমে লেখেন নভেম্বর থেকে দিল্লির সীমান্তে কেন্দ্রের খামার আইনগুলি কে নিয়ে যে মতবিরোধ চলছে, তার বিরুদ্ধে কৃষকদের বিক্ষোভের পক্ষে সমর্থন জানাতে “টুলকিট” টুইট করেছিলেন।
ব্যাক্তিগত মতামত : সরকার কে নিয়ে বলা সরকারের বিপক্ষে বলা, আমরা না জানলেও বেশিরভাগ সময় সরকারের জন্যে দুটোই সন্তুষ্টি জনক। বিজেপি সরকারাধীনে এখন পর্যুন্ত যত বিল,আইন, পাস হয়েছে তাতে সরকার নিজেই জানেনা যে সে কতটা লাঞ্ছনীয় হচ্ছে সাধারণ মানুষের সামনে।
আপনাকে মনেকরিয়ে দেয়ার জন্যে কয়েকটা উদাহরণ- নোট বন্দি – কালোবাজারি দূর হবে রাতারাতি সরকার সময়কে লগ্নে রূপান্তরিত করে রাঘব বোয়ালদের ঋণ মাফ করেদিলো, রাস্তায় অসহায় নিরাশায় ভরসায় বসে রইলো সাধারণ মানুষ আর ছোট বেবসায়ীরা।
জিএসটি – গুড এন্ড সার্ভিস টেক্স (গাব্বার সিং টেক্স “রাহুল গান্ধী”) এখানে পুঁজিপতির কোনো ক্ষতি হয়নি, হয়রানি আর নিরাশায় এখনো ভুকছে সাধারণ মানুষ ছোট বেবসায়ীরা।
CAB – CAA – সরকার ভেবেছিলো পুরো দেশটাকে আসামের মতো করে বাছাই করবো কিন্তু সাধারণ মানুষ নিজেই আসামি হয় নিজেকে রাস্তায় বন্দি করে। প্রায় ১১০ দিনেরও বেশিদিন মানুষ নিজেকে রাস্তায় বন্দি রেখেছিলো “শাহীনবাগ” দিল্লি। এই আন্দোলন চলাকালীন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে অঘাত পরিমানে আঘাত করা হয়েছে। হিন্দু মুসলিম করিয়ে দেশের রাজধানীকে জ্বালিয়েছে।
কিষান বিল, কিষান আন্দোলন – কৃষক আমাদের অন্নদাতা আমরা জানি জলের ওপর নাম জীবন সেটাও আমরা জানি, তারপরও আমরা জলকে অপচয় করি জল সংরক্ষনের কথা ভাবার সময় আমাদের নেই। আজকে দেশের কৃষক প্রায় ৩মাস পেরিয়ে গেছে নিজের ঘর ছেড়ে রাস্তায় আছে এইটুকু সোনার জন্যে যে সরকার আপনার নতুন আইনে অনেক কিছু ভ্রান্তি আছে আপনি অনুগ্রহ করে এটা তুলেনিন। কৃষকরা তাদের শান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বহুবার জানিয়েছে কিন্তু তারাও মানুষ তাদের সহ্যসীমা আছে সরকার বাধ্য করেছে কৃষক কে উত্তেজিত হতে, আজকে পুরো শিখ সম্প্রদায়কে অসম্মান করছে সরকার, খালিস্থানি আতংবাদ বলছে। যেখানে নিজের দেশের জন্যে সঠিক সমাধান করা দরকার সেখানে ভিন্ন দেশীয় গ্রেটার টুইট নিয়ে পুরো “দোল বদল আর মালা বদল চলছে”
