১৯৭৬ সালে নুরুল ইসলাম মুসলমান সমাজকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার উদ্যোগ গ্রহন করেন। নুরুল ইসলাম পড়াশোনার পাশাপাশি নিজ গ্রাম খলতপুরের মানুষের সহায়তায় সেখানে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করেন। খলতপুর জুনিয়র হাই মাদ্রাসা। গ্রামের বাচ্চাদেরকে তিনি উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে। মাত্র ৭টি বাচ্চা নিয়ে যাত্রা শুরু হয় তাঁর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। ১৯৮৪ সালে খলতপুর জুনিয়র মাদরাসার পরিসর আরেকটু বড় করে সেখানে ছাত্রদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা চালু করেন। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের নামেও আনেন পরিবর্তন। নাম রাখেন ইন্সটিটিউট অফ ইসলামিক কালচার। হাওড়ার মুসলিম সমাজের ছেলে-মেয়েরা এই প্রতিষ্ঠানের সুবাদে ধীরে ধীরে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। ১৯৮৬ সালে নুরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানের নামে আনেন আবারও পরিবর্তন। নতুন নামকরন হয় ‘আল-আমিন মিশন’। গত তিন দশক ধরে গ্রামের দুঃস্থ মুসলিম ছেলেমেয়েদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই প্রতিষ্ঠানটি।
- পেটের টানে আজও জীবনযুদ্ধে সামিল সুন্দরবনের ‘বাঘ বিধবা’
- জর্জ ফ্লয়েড হত্যায় বিশ্ব জুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়, আমেরিকায় ‘রেসিসম’-এর বিরুদ্ধে কলম ধরলেন অভিনেতা জর্জ ক্লুনি
আল আমিন মিশনের প্রাক্তনরা এবার ঘূর্ণিঝড় আমফানে বিপর্যস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে ত্রান ও পূনর্গঠনের ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতেও খাদ্যদ্রব্য, বস্ত্র, ওষুধ, বেবি ফুড ইত্যাদি নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে সরবরাহ করছেন তারা। আল-আমিন মিশনের প্রাক্তন পড়ুয়াদের উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে হেলথ চেকআপ এবং পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহের কাজ চলছে। বাদুড়িয়া ও দেগঙ্গা বিধানসভা এলাকা জুড়ে কমপক্ষে ২০০ টি পরিবারের হাতে আলু, চিনি, সরষের তেলের মত সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলের সমস্ত শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় সব রকম ভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন প্রাক্তন ছাত্র রেজাবুল শেখ, আসহাক আলী শেখ।
২০১৫ সালে রাষ্ট্রীয়ভাবে এর স্বীকৃতি পায় তারা। রামকৃষ্ণ মিশন আর ভারত সেবাশ্রমের সঙ্গে রাজ্য সরকার আল-আমিন মিশনকে ‘বঙ্গভূষণ’ সম্মানে ভূষিত করে।
