
বঙ্গোপসাগরে সময়ের সাথে সাথে শক্তি বাড়াচ্ছে আমফান। নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে আজ অর্থাৎ শনিবার রাত থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে বলে দাবি করেছে আবহাওয়াবিদরা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার দক্ষিণ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরভাগে আছড়ে পড়তে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস এর মতে- ১৭ তারিখ থেকে ঘূর্ণিঝড় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে যাবে তারপর উত্তর-পূর্বে দিক পরিবর্তন করে সেটি পশ্চিমবঙ্গের উপকূল উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে দিকে ধাবমান হবে। ১৮ থেকে ১৯ তারিখের মধ্যে এই ঘটনা ঘটবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
রবিবার, উত্তর-পশ্চিমে আমফানের গতিবেগ থাকবে প্রতি ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। সোমবার, এটি দিক পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। এর জেরে অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূল অঞ্চলে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মধ্য বঙ্গোপসাগরে প্রতি ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার এবং অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলে প্রতি ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। উপকূল সংলগ্ন জেলা কলকাতা ও আশেপাশের উপকূলে ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গে- উড়িষ্যা উপকূলের কাছে প্রতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে এবং উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ থাকবে প্রতি ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার। ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
বুধবার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে এবং হাওয়ার গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটার থাকবে।
আমফানের জেরে সোমবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তাও জারি করা হয়েছে। ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশের উপকূল সংলগ্ন এলাকায় এর প্রভাব বেশি পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। সুন্দরবনের প্রতি ব্লকে বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।এছাড়াও, আমফান বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে অতিরিক্ত উপকূল রক্ষী বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
