
সিভিল সার্ভিসে যোগদান করা অনেকের কাছে স্বপ্নপূরণ এর মত। এটি বাস্তবিক-ই একটি কঠিন পরীক্ষা যা সবাই সফল হতে পারেনা, প্রচুর মেহেনত করার পরও সফলতা দূরে রয়ে যায়। কিন্তু সবথেকে আনন্দের বিষয়, যখন সেই স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়।
এমন-ই একটি ঘটনা ঘটে বেঙ্গালুরু-এর বাস কন্ডাক্টর এর জীবনে। ‘বেঙ্গালুরু মিরর’ পত্রিকার খবর অনুযায়ী, বিএমটিসির বাসের কন্ডাক্টর মধু এনসি ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসেসের প্রধান পরীক্ষায় সফল হন এবং ২৫ শে মার্চ ইন্টারভিউ-এর জন্যে তাকে ডাকা হয়েছে। মধু জানান, ‘আমি প্রতিদিন নিয়মিত সকাল চারটের সময় ঘুম থেকে উঠে কাজ শুরু করার আগে পড়াশোনা শেষ করতাম এবং কাজের শেষেও পড়াশোনা করতাম।’
বছর ঊনত্রিশ-এর এই ব্যক্তি ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (ইউপিএসসি)প্রিলিমিনারি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর, জানুয়ারী -তে প্রধান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ-এর লিস্টে তাঁর রোল নম্বরটি দেখে ভীষণ আনন্দিত হয়েছিলেন। প্রতিদিন ৮ ঘন্টা কন্ডাক্টর হিসাবে কাজ করেও এতো বড়ো সাফল্য অর্জন পরিবারের লোক মধুর এই কৃতিত্ব দেখে মুগ্ধ।
নিজের রুটিনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন,
“আমি সবসময় জীবনে বড় কিছু করতে চেয়েছিলাম। আমার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করার জন্য প্রথম দিকে কাজ শুরু করেছিলাম, কিন্তু আমার কাজ আমাকে পড়াশোনা থেকে কখনোই বিরত রাখেনি। আমি প্রতিদিন পাঁচ ঘন্টা পড়াশোনা করতাম। আমার বিষয়গুলি ছিল নীতিশাস্ত্র, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, গণিত এবং বিজ্ঞান”।
- অর্থনীতির খবর পড়ুন:
- ভারতীয় অর্থনীতির সংকট কিছুটা কমবে, আসা প্রকাশ আইএমএফ -এর প্রধান:
- বাজেট ২০২০: কর দাতারা কি বড় ছাড় পাবেন? কর কমানো হতে পারে
- বাজেটের গুরুত্ব নিয়তই কমে যাচ্ছে, ভারতের বাজেটের চেও বেশি সম্পদের মালিকানা ৬৩ জন ধোনি ব্যক্তির হাতে।
তিনি আরও জানান, ‘ইন্টারভিউ -তে সফল হলে কন্ডাক্টরি চাকরি ছেড়ে আইএএস অফিসার হিসাবে কাজ করার পরিকল্পনা করছি।’
এই সমাজে যদি কেউ চায়, সে যেকোনো পরিস্থিতি থেকে লড়াই করে সফলতা হাসিল করতে পারে। মধুর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাই ।
