ইসলাম ধর্মানুযায়ী পবিত্র রমজানে ১ মাস রোজা বা সিয়াম সাধনার পর শাওয়াল মাসের ১ তারিখে খুশীর ঈদ উদযাপন করা হয়। পবিত্র ঈদ পালন করবার আগে মুসলমানেরা রমজান মাসে রোজা পালন করেন। কর্ম ব্যস্ততার মধ্যেই সূর্য ওঠা থেকে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত এই কঠোর উপবাস পালন করে থাকেন তাঁরা। সূর্যাস্তের পর কোরান পাঠ ও শ্রবণ এর মাধ্যমে তাঁরা আত্মশুদ্ধি করেন। ঈদ কবে পালিত হবে সেটা আকাশে চাঁদ দেখেই নির্ধারণ করে পবিত্র দিনে শুরু হয় ঈদ-উল ফিতর অনুষ্ঠান পর্ব। মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত সকলে এই পবিত্র উৎসবে মেতে ওঠেন। আল্লাহর উদ্দেশ্যে তাদের প্রার্থনা নিবেদন করে শুরু হয় মিলন উৎসব। একে অপরকে কোলাকুলি করে আনন্দের দিনটিকে পালন করে ঈদ উৎসব পালিত হয়ে থাকে।
তিরুবনন্তপুরমে কেরলের মুসলমানেরা স্থির করে যে, শুক্রবার চাঁদ দেখা না গেলেও রবিবার অর্থাৎ ২৪ মে ঈদ পালন করা হবে। এক মাস ধরে কঠোর উপবাস করার পর পালন করা হয় পবিত্র ঈদ।
তবে করোনা পরিস্থিতে এবার ঈদ পালন করা হবে সমস্তরকম বিধিনিষেধ মেনে। সরকার থেকে ঈদের মিলন অনুষ্ঠান এবং খাওয়া-দাওয়া সবকিছুই বাড়িতে পালন করবার জন্য বলা হয়। খোলা স্থানে ঈদের নামাজ না পড়ে প্রত্যেককে ঘরে বসে ঈদের নামাজ পড়ার অনুরোধ করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এ বিষয়ে সকল মুসলমানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, সমস্ত লকডাউনের নিয়মাবলী এবং অন্যান্য নিয়ম মেনে চলতে হবে। তিনি অবশ্য বলেছিলেন যে, রবিবার ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হলে কিছুটা শিথিলতা হবে। গত দুই সপ্তাহ ধরে, মানুষকে বাড়ির ভিতরে থাকতে বলা হয় এবং কেবলমাত্র মেডিকেল স্টোরের মতো প্রয়োজনীয় দোকানগুলিকেই খোলার অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে, এই বিধি-নিষেধ গুলি যদি ঠিকঠাক পালন করা হয় তাহলে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কম হবে এবং এতে সমগ্র সমাজের পক্ষেই মঙ্গলজনক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
