
সোমবার, নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যকে সচল করতে এবং স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ ফিরিয়ে আনার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ দু’দফায় কার্যকর করা হবে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রথম দফায় আগামী ২১ শে ও দ্বিতীয় দফায় ২৭ শে মে থেকে কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা করা হবে। তবে তার আগে তিনি কন্টেইনমেন্ট জোনকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন,এর মধ্যে-
১) ‘এ জোন’ – যেখানে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি এবং এখানে সবকিছুই বন্ধ থাকবে।
২) ‘বি জোন’ অর্থাৎ বাফার জোন, যেখানে ‘এ জোনের’ তুলনায় কম নজরদারি হবে। দোকান খোলার ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা থাকবে।
৩) ‘সি জোন’ হল ক্লিন জোন- এই জোনে দোকান খোলা থাকবে।
উপরিউক্ত বিষয়গুলিকে মাথায় রেখেই তিনি আগামী ২১ শে মে অর্থাৎ প্রথম দফায় মাঝারি ও বড় দোকান খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এছাড়াও আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা এবং ৫০% কর্মী নিয়ে কারখানা ও প্রাইভেট অফিস চালু রাখার অনুমতি প্রদান করেন। এদিন থেকেই তিনি হোটেল চালু করার কথাও বলেন। এক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেন। তবে,রেস্তোরাঁ খোলার অনুমতি তিনি দেননি।
আগামী ২৭ শে মে অর্থাৎ দ্বিতীয় দফায়, হকার্স মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে, এই মার্কেটে খোলা হবে জোড়-বিজোড় নীতি অনুসরণ করে। এ বিষয়ে তিনি ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে হকার্স মার্কেটের জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা, পুর সচিব খলিল আহমেদ এবং রাজ্য পুলিশের ডি জি কে নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে হকারদের জোড় বিজোড় সংখ্যার ভিত্তিতে পাস বিলি করা হবে । এই নিয়ম অনুসরণ করেই খোলা হবে হকার্স মার্কেট।
ঐদিন থেকে দু’জন যাত্রী নিয়ে অটো চালানোর অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া, সেলুন- বিউটি পার্লার খোলা যাবে। তবে, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রীতি মেনে স্যানিটাইজ করতে হবে। সামাজিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৭ জনের জায়গায় ১৫ জনের সমাগম এবং ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছেন তিনি।
করোনার পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধির জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, জনগণের উদ্দেশ্যে সমস্ত ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন এবং প্রয়োজনীয় নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি।
