২৭-০৪-২০২০ আজকে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে ভিডিও বৈঠকে আছেন বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। দ্বিতীয় লোকডাউন এর সমাপ্তির সময়কে নিয়ে চিন্তায় আছেন সবাই। করোনাভাইরাসের জন্যে অনেক শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ বিভিন্ন জায়গায় আটকে আছে। দেশের বেহাল পরিস্থিতিকে সামলাতে প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বার লোকডাউন এর ঘোষণা করেছিলেন আর মাত্র ৭ দিন রয়েছে লোকডাউনের বাকি।
আজকের এই বৈঠকে উপস্থিত আছেন মেঘালয়, মিজোরাম, পন্ডিচেরী, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ, ওড়িশা, বিহার, গুজরাট ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি বলে জানাযায়, কিন্তু ২২ মার্চ থেকে যারা অজপর্যুন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় আটকে আছে তারা সকলেই আজকের এই ভিডিও কনফারেন্সের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে উম্মুক্ত হয় রয়েছেন। ৩-রা মে দ্বিতীয় লোকডাউন এর শেষ তারিখ, কিন্তু পরিস্থিতি অনুসারে অনুমান করা হচ্ছে যে আগামী দিনেও লোকডাউন হতে পারে। কারণ ভারতে এখনো সংখ্যা কমের দিকে নামেনি, যদিওবা অনেকটা নিজেদের কোবলের মধ্যেই রয়েছে।
সরকারের সঙ্গে মতবিরোধ রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর, লোকডাউন বাড়ানো হবে বলে মহলে প্রখর জল্পনা চলছে। ৩ মে’র পরেও মানুষকে গৃহবন্দী থাকতে হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আর তা নাছাড়া ভারত সরকারের কাছে কোনো পথ খোলা নেই, সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সঠিক সংবাদ পাওয়া যায়নি যে আমরা কত পরিমান টেস্ট প্রতিদিন করতে পারি। তবে হ্যাঁ লোকডাউন একটা বৃহৎ বিপদ হতে আমাদের কে রক্ষা করেছে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তাঁদের সেই জল্পনায় ইন্ধন জুগিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, আগামী ১৬ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়াতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। আরো অন্নান্ন মহলের মোতে দেশের করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।
- কভিড-১৯ ; নোভেল করোনা ভাইরাস বিষয়ক যে কোনও তথ্য প্রকাশের জন্য অফিসিয়াল সংস্করণ অনুসরণ করতে হবে মিডিয়াকে, জানালো সুপ্রিম কোর্ট
- বর্তমান যুবসমাজের ওপর চলতি পরাভব দারুণভাবে ক্ষতি করতে পারে, জানাচ্ছেন গবেষকরা
কিন্তু পরিস্থিতিকে লক্ষ করে সরকার দেশের অর্থনীতিকে সামনে রেখে হয়তোবা লোকডাউন রুখতে পারেন যদিওবা এর সম্ভাবনা আংশিক তবে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির শিকার হিসাবে সব থেকে বেশি বিপদগ্রস্ত হয়েছে লেবার শ্রেণীর মানুষ। সরকার কে লক্ষ রাখা উচিত এই মানুষগুলোকে যথাযত তাদের বাসস্থান পর্যুন্ত পৌঁছে দেয়া, গত কাল আমাদের সংবাদ দাতা জানায় যে নয়ডা সেক্টর ৭৬- এ অনেক বাঙ্গালী ও বিহারি লোকজন সেখানে আটকে আছে. সরকার ও দিল্লী সরকার যে খাবারের বেবস্থা করেছেন সেখানকার সাধারণ লোকজক জানায় যে তাদের কাছে তেমন খাবার কিছুই পৌছায়না। আমাদের সংবাদ দাতা তাদের সাথে ভিডিও ইন্টারভিউ করতে চাইলে তারা জানায় যে আমাদের বাড়ির লোক দেখলে তারা কান্না কাটি শুরু করবে হতাশায় নিরাশায় ভেঙে পড়বে যেটা আমরা চাইনা। পরিস্থিতি যেহেতু আমাদের কবলে সেহুতু সকল লেবার শ্রেণীর আপিল যে সরকার যেন ৩ মে’র পর আমাদের বাড়ি যাওয়ার বেবস্থা করে।
