গোটা বিশ্বে যখন করোনা ভাইরাস নিয়ে সংকট মহামারী। তখন ভারতীয় মিডিয়া, দালালির শেষ সীমান্তে পৌঁছে (নিজের অবনতি বহুদিন আগেই সুরু করেছে) আবার ধার্মিক ভাবে পুরো বিষয়টাকে মাতিয়ে তুললো। আমরা জানার চেষ্টা করবো সংবিধানিক অবনতি আর কতদিন চলবে ?
দেশে ক্ষুদার্থ মানুষের অভাব আগে থেকেই। দেশে ভন্ড মানুষ থেকে শুরু করে গরুর মতো পশুকে নিয়েও মিডিয়া সমাজকে উত্তেজিত করেছে। আজকের মতো পরিস্থিতে সবাই যে যার প্রাণ বাঁচাতে নিজেকে ঘর বন্দি করেছে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কথামতো।
সমাজ সবাইকে পরিবর্তনের সুযোগ দে, কিন্তু মানুষ সর্বদা নিজেকে অকাল্পনিক পরিবর্তন করেই চলেছে। আমাদের দেশে মাত্র কয়েকদিন হলো হিন্দু মুসলিম বৈষম্যটা বজায় ছিল। মিডিয়া তার অত্যাধিক পরিশ্রমে কাজ করছিলো বিশেষ করে করোনা ভাইরাসকে নিয়ে।
“যেন আচমকা কালো মেঘ এসে পুরো খেলাটা নষ্ট করে দিলো” উক্ত লাইনটি বলার কারণ হলো দিল্লির নিজামুদ্দিনে প্রায় ১,৫০০-এর বেশি তাবলিকি জামাতের লগ ছিল। 31 মার্চ পুরো মারকাছ খালি করে সরকার ও দিল্লি সরকারের নিয়মাধীনে সবাইকে সঙ্গরোধের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
সরকারের করণীয় ছিল
চীন ও ইতালি আরো অন্যান্য দেশে যখন করোনা ভাইরাসের প্রভাব অতিরিক্ত ছিল তখন ভারত সরকার আমাদের ভারতীয়দের নিয়ে আসার জন্যে অনেক গল্পকথা করেছিল। তারপর প্রত্যেকটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও মালয়েশিয়া, সৌদি আরো অন্নান্য দেশ থেকে এই তাবলিকি জামাত ভারতে আসে। আজকে বিভিন্ন রকম আলোচনা সমালোচনা করছে গদি মিডিয়া। যেটা প্রকাশের নয় সেটাও আজ উলঙ্গ, ভারত সরকার আগেই সতর্কতা বাণী দিয়েছেন কিন্তু পুরো পদ্ধতি এলোমেলো অবস্থায় ছিল। সরকার এবং দিল্লি সরকার যখন সতর্কই ছিল তবে এতো জামাতি কিভাবে বিদেশ থেকে ভারতে পৌছালো ? আর পৌঁছনোর পরেও কোনো হদিস ছিলোনা। নিজামুদ্দিন মারকাছের পাশেই পুলিশ প্রশাসন তারপরও কেন তারা রিপোর্ট সংগ্রহ করলোনা ? আজকে যখন ভারতে পুরো ব্যাপারটা নিয়ে একটা আতঙ্ক তৈরী হয়ে আছে ঠিক এমনি সময়ে প্রশাসন সরকার সবার ঘুম ভাঙলো যে নিজামুদ্দিনে তাবলীকি জামাতের সঙ্গবদ্ধ এক দোল রয়েছে। যেখানে শুধুই ভারতীয় নয় দেশ বিদেশের অনেকে আছেন।
- করোনা-ভাইরাসঃ চিনের বিরুদ্ধে ২০ ট্রিলিয়ন ডলারের অধিক ধার্য করে মামলা দায়ের করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
- ভারতে ৫ ট্রিলিয়ন: কখন? কিভাবে?
তাবলীকি জামাতের করণীয় ছিল
তাবলীকি জামাত এক বিশাল বড় প্রতিষ্ঠান ধার্মিক ক্ষেত্রে সবাই এখানে যাওয়া আসা করে। পুরো বিশ্বে যখন লক ডাউন শুরু হয়েছে, এমন কি মক্কা পর্যুন্ত তবে নিজামুদ্দিনের জামাতি কর্মরতাদের ভাবা উচিত ছিল আমরা কেন একত্রিত থাকবো। তার পর আবার মৌলানা সাহেবের অদ্ভুত বাল্য ভাষা “করোনা জিহাদ” আর যেখান থেকেই শুরু হয়ে গেলো গদি মিডিয়া।
মিডিয়ার করণীয় ছিল
মিডিয়াকে দেশের পরিস্থিতি সঠিক ভাবে তুলে ধরতে, সাধারণ মানুষের আওয়াজকে তুলে ধরতে সব সময়ে সঙ্গবদ্ধ ভাবে সমাবেশের পথ তৈরী করে চলা উচিত। আজকে সমাজের মানুষ মিডিয়াকে বিকৃত বলছে, সম্মানহানি করছে, কারণ মিডিয়া যে স্তম্ভে থাকা উচিৎ সেখানে নেই। সমাজ বিব্ভ্রান্ত হলে তাকে দিসা দেখাবে দেশের মিডিয়া, কারণ লোকতন্ত্রের চতুর্থ খুঁটি হলো মিডিয়া।
