গোটা বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাস আতঙ্কে আতঙ্কিত, স্বাভাবিক, আতঙ্কিত হওয়ার–ই কথা। বিশ্বে যেভাবে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে এবং তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও! এই বেড়ে চলা সংখ্যার মোকাবিলা করতে প্রত্যেকটি দেশের সরকার সবরকম প্রচেষ্টা ক্রমাগত চালিয়ে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাস টেস্টিং নিয়ে কিন্তু নানা মুনির নানা মত রয়েছে। ভারতবর্ষে প্রায় অনেক হাসপাতালেই এই টেস্টিং চালু করা হয়েছে এবং কিছু কিছু হাসপাতালে চালু হচ্ছে, কিন্তু এর টেস্টিং–এর জন্য আসলে খরচ কত? জেনে নাওয়া যাক এই টেস্টিং–এর আসল মূল্য।
ভারত –
ভারতবর্ষে সরকারি হাসপাতালগুলিতে এখনও অবধি বিনামূল্যে এই টেস্টিং পদ্ধতি চালু আছে, কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে এর খরচ ৪৫০০ টাকা। যথারীতি কিন্তু বিনামূল্যে এই টেস্ট করাতে সরকারি হাসপাতাল গুলিতে মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে প্রতিদিন। কিন্তু হাসপাতালগুলি এই ব্যাপারে কঠর নিয়ম চালু করেছে। বর্তমানে যারা বিদেশফেরত ব্যক্তি এবং যাদের বিদেশযাত্রার ইতিহাস রয়েছে কেবল তাঁদের–ই একমাত্র এই টেস্ট করা হচ্ছে।
আমেরিকা –
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই টেস্টিং নিখরচায় করা হচ্ছে তবে আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধি অনুসারে অতিরিক্ত ব্যয় অনেক বাড়ছে। ট্রাম্প সরকার এর দিকে নজর দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্রিটেন –
এনএইচএস (জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা) দ্বারা পরিচালিত টেস্টিং নিখরচায় করা হচ্ছে। প্রাইভেট ল্যাবগুলিতে এই টেস্টিং এর খরচ প্রায় ৩৭৫ পাউন্ড, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩৪,৪৩৩.৭৭ টাকা।
চীন
চীন সরকার শুধুমাত্র এর টেস্ট নিখরচায় করছে তা নয়, কোনও ব্যক্তির চিকিৎসার সময় যদি কিছু হয় এবং সেই ব্যক্তির বীমা আওতাভুক্ত হয়, এমন কওভিড –১৯ সম্পর্কিত অন্যান্য চার্জ সরকারের দায়বদ্ধ।
পাকিস্তান
সরকারী–নির্ধারিত বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে নিখরচায় টেস্টিং ব্যবস্থা রয়েছে।এছাড়াও, পাকিস্তান সরকার টেস্টিং কিটের আনার ব্যবস্থা করছে, যার মূল্য হবে ৩০০–৫০০।
ভিয়েতনাম
বিশ্বে একটি মাত্র দেশ যা সবথেকে সফলভাবে এই ভাইরাস–এর সংক্রমণ রুখতে পেরেছে। ভিয়েতনাম সরকার প্রত্যেককে নিখরচায় টেস্টিং ব্যবস্থা করছে এবং কোনও ব্যক্তির টেস্ট নেগেটিভ প্রমাণিত হলে, তার ব্যয়–ও সরকার বহন করবে।
সাউথ কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ায় এর টেস্টিং বিনামূল্যে। এই দেশে ড্রাইভ–থ্রু সিস্টেম (গাড়ি করে গিয়ে টেস্ট করাতে হবে গাড়ি থেকে না নেমে) করা হয়েছে। পরেরদিন টেস্ট রেজাল্ট ডিজিটালই (এসএমএস) পাওয়া যাবে।
ইতালি
বিশ্বের অন্যতম সেরা চিকিৎসা সুবিধা সহ একটি দেশ। ইতালিতে নিখরচায় খুব–ই সক্রিয় ভাবে এর টেস্টিং করানো হচ্ছে।
এই মহামারী–কে আটকাতে হলে প্রতিটা দেশের সরকারকে বুঝতে হবে নিখরচায় টেস্ট এখন খুব–ই প্রয়োজন। বিশেষ করে ভারতের মত দেশে, এটাই একমাত্র উপায়।
