রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কনটেনমেন্ট জোনে আবার কমপ্লিট লকডাউন থাকা সত্ত্বেও বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। গত ৯ জুলাই বিকেল ৫টা থেকে ফের লকডাউন কার্যকর হয়েছে। এদিন, স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যে নতুন করে ১৫৬০ টি করোনার কেস রিপোর্ট করেছে, এদের মধ্যে ২৮৮ টি কলকাতায় রয়েছে। এমতাবস্থায় বেসরকারি হাসপাতালে মিলছে না বেড।
তথ্য সূত্রে খবর, সেই সময় সরকারী হাসপাতালে কোভিড-১৯ কেসের জন্য ৭৩ শতাংশ বেড শূন্য ছিল; পাশাপাশি বেসরকারী হাসপাতালে শূন্য বেড ছিল মাত্র ১৪ শতাংশ। সংখ্যার দিক থেকে সরকারী হাসপাতালে ১০৮৩০ টির মধ্যে ৭৯০৪ টি খালি রয়েছে। বেসরকারী হাসপাতালে ১৪২৩ টির মধ্যে শূন্য বেড রয়েছে ২০৬ টি। এছাড়াও, শুক্রবারে ৩৩ টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ১৪ টির একটিও শূন্য বেড ছিল না বলে জানা যায়। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে?
এই বিষয়ের ওপর মতামত রেখেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের ডাঃ কৌশিক লাহিড়ী। তিনি বলেন, “গতরাতে মাত্র ১৯১ টি শয্যা পাওয়া গিয়েছিল। কারন, হয়ত তাঁদের সরকারের প্রতি আস্থা নেই। সরকারী চিকিত্সকরা দুর্দান্ত তবে কোনওভাবেই তাঁরা সরকারী সংগঠনের প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না।”
- অক্সফোর্ড ইউনিয়নে বক্তৃতা দেওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- মানুষের শরীরে করোনা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তৈরী হতে এখনও দেরী আছে’, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে দিনে ২.৮৭ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্তের পূর্বাভাস এমআইটি’র রিপোর্টে
কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের এক গবেষণা অনুসারে, ডাঃ লাহিড়ী বলেছেন, কলকাতায় ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে উচ্চ আয়,অবস্থাপন্ন ঘর থেকে আসা রোগীদের প্রাইভেট হেলথ কেয়ারে যাওয়ার ঝোঁক রয়েছে। সরকারী হাসপাতালে ১৫ শতাংশ নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষ যান।
এ বিষয়ে সরকারের সূত্রের বক্তব্য, সমস্যাটি হ’ল অ্যাসিম্পটোম্যাটিক রোগীরা হাসপাতালের বিছানায় ভিড় করছেন অথচ তাঁরা বাড়িতেই কোয়ারান্টিনে থাকতে পারেন। সেই সময় যেসব রোগীদের সত্যিই পরিষেবা দেওয়া প্রয়োজন তাঁদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। রাজ্যে মোট ৯৯৮ টি আইসিইউ বেড এবং ৩৯৫টি ভেন্টিলেটর রয়েছে। এ বিষয়ে ডাঃ লাহিড়ি বলেছেন-“ভেন্টিলেটর সংখ্যা অবশ্যই কম। এ ব্যাপারে সরকারকে চিকিত্সক সংস্থা থেকে বারবার অনুরোধ করা হলেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি”।
