
কলকাতা: রাজ্যে শত্রু সম্পত্তির অফিস– রাজ্যে ২,৭৬৪ টি সম্পত্তি রক্ষক রয়েছে। তারা আইনি তরিকায় তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে, যাতে করে প্রথম লোটেই বিক্রির জন্যে রাখা যায়।
যেসকল মানুষরা ১৯৬৫ এবং ১৯৭১-এ ভারত ছেড়ে পাকিস্তান বা চীন-এ চলে গেছেন সেই দেশের নাগরিকত্বের জন্য, তাদের যে ফেলে রাখা সম্পত্তি ভারতে রয়েছে সেইসব শত্রু সম্পত্তিকে সজ্ঞায়িত করা হচ্ছে।
শত্রু সম্পত্তির (১৯৬৮) আইনকে কেন্দ্র সংশোধন করেছিল ২০১৭ সালে। (Eviction of Unauthorised Occupants) Act, 1971. সেই সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ১৯৬২,১৯৬৫,১৯৭১-এর পরে যারা ভারত ত্যাগ করেছেন তাদের উত্তরাধিকারীরা এই (শত্রু) সম্পত্তির মালিকানা দাবি করতে পারবেনা।
গত মাসের শেষদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি প্যানেল স্থাপন করেছিলেন, যেখানে তিনি বলেন পুরো ভারত জুড়ে ৯,৪০০-এরও বেশি শত্রু সম্পত্তি নিলাম করতে, যা প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্বের কাছে আনার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুন:
- ভারতীয় অর্থনীতির সংকট কিছুটা কমবে, আসা প্রকাশ আইএমএফ -এর প্রধান:
- দেশীয় বৃদ্ধি স্থুল হলেও অর্থনৈতিক বেবস্থা সামঞ্জস্যপূর্ণ জায়গায়। জানান রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
কেন্দ্র গত বছর, রাজ্যের সরকারগুলিকে জনসাধারণের সুবিধার্থে কিছু শত্রু সম্পত্তি ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে।
“পাইলট প্রকল্পটির প্রথম উদ্দেশ্যটি হলো শত্রু সম্পত্তিকে মুক্ত করে আইনি ভাবে সেকশন ১৮-এর অধীনে এনে বর্জিত করা”। তিনি বলেছিলেন বিভাগের একটি শাখা সম্পত্তি বিচ্যুতিমুক্ত করতে ব্যস্ত।
এখন পর্যন্ত, বাংলায় বেশিরভাগ শত্রু সম্পত্তি কর্পোরেশন বা ব্যক্তিদের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়, আর সাধারণ ভাবে এগুলোর ভেড়াগুলি তুলে থাকেন সম্পত্তি রক্ষকরাই। কিন্তু অনেক সময়ে চ্যালেঞ্জ-এর সম্মুখীন হতে হয় এই সম্পত্তি গুলিকে সাজিয়ে রাখতে।
“এই সম্পত্তি গুলির বড়ো অংশগুলি মালদা এবং মুর্শিদাবাদে রয়েছে, কলকাতায় নির্দিষ্ট আইকনিক বিল্ডিংও রয়েছে, কর্মকর্তা বলেন যা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়”
