নাগরিকত্ব বিরোধী সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে দেশের রাজধানীতে বেহাল পরিস্থিতি, ঘুমন্ত সরকার যেন অচেতন। হিংসাকে নিরাশ্রয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজধানীর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সুরক্ষা বাহিনী বৃহস্পতিবার দিল্লির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলার বিভিন্ন জায়গায় একটি পতাকা মার্চ করেছে।
বুধবার গভীর রাতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার (আইন শৃঙ্খলা) এস-এন শ্রীবাস্তব, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার পর, সমস্ত নিরাপত্তাকর্মী সহ পতাকা মার্চ চলাকালীন প্রতিরক্ষার জন্যে লাঠি সজ্জিত রাখে।
অপরদিকে ঘটনাকে লক্ষ করলে আমরা দেখি যে দিল্লি পুলিশ তাদের সহযোগী রেফারি হিসাবে ছিল, অবৈধ চক্রান্তের সাথে জড়িত দিল্লি পুলিশ কেনইবা বা বার বার নিজের খাঁকি পোশাকের সম্মানহানী করছে ?
জেলার জাফরাবাদ, মৌজপুর-বাবরপুর, গোকুলপুরী, জোহরি এনক্লেভ এবং শিববিহার – বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
- আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই হচ্ছে তৃণমূলের প্রধান কাজ
- ট্রাম্পের ভারত সফর ও তাজমহল দর্শনে খরচ প্রায় ১০০ কোটি
- রাষ্ট্রদ্রোহীর মামলা আমুল্যা লিওনার ওপর, কারণ, তার স্লোগান পাকিস্তান জিন্দাবাদ
- জেডি (ইউ) থেকে বহিষ্কারের পর নীতীশকে প্রশান্ত কিশোরের তোপ, উন্নয়ন নিয়ে কটাক্ষ
বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মণীশ সিসোদিয়াও জেলা সফর করেছিলেন।আর এই পরিস্থিতিকে সামলানোর জন্যে বিশেষ বৈঠকও হয়ে, যেখানে অমিত শাহ উপস্থিত ছিলেন।
নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশে যেভাবে অহিংসা ছড়িয়ে পড়েছে এবং নানান ঝগড়া বিবাদের মধ্যে নিহতের সংখ্যাও বাড়ছে। দেশের রাজধানীর পরিস্থিতি আজ “২০০২ এর গুজরাটের ঘটনাকে আংগুল তুলে প্রমান দিচ্ছে”।দিল্লির অনেক মানুষ এটিকে “গুজরাট মুভমেন্ট বলে আখ্যা দিচ্ছে”।
অপরদিকে ফাস্ট ট্রাক আদালত ২৮ বৃহস্পতিবার যাদেরকে অবৈধ নাগরিক বলে অবিহিত করা হচ্ছে, বিশেষ করে যারা বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছে, তাদের কে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়াটি দ্রুত শুরু করবে বলে জানাচ্ছে।
