দ্বীতিয়বার আত্মঘাতী করোনা নিজের খেলায় মত্তো, অপরদিকে দেশের অন্যান্য মন্ত্রী সহ প্রধানমন্ত্রীও আপন খেলায় মত্তো ছিল এখনো আছে।
পুরো বিশ্ব যখন ভ্যাকসিন নিয়ে কোরোনার বিরুদ্ধে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে, একদিকে করোনা নিয়ে যথারীতি নিয়মানুসারে চলতে বলে, অন্যদিকে নিজেই মাস্কবিহীন অবস্থায় হাজারও লোকনিয়ে মিছিল করে। কোনো দেশের লিডার যদি এমন হয় তবে দেশ নিজের মোকাবেলার ক্ষমতা হারায়।
ভারতীয় মিডিয়া ধর্মান্তিক/মর্মান্তিক খবর প্রচারে খুবই সক্ষম, আজকে পার্শ্ববর্তি দেশ নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এরা সবাই ভারতের চিত্র দেখে আতঙ্কিত। বিভিন্ন সাফল্লকাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ একটা লাইন হয় “চেষ্টা করো সব টা না পেলেও কিছুটা পাবে” ভারতের সিস্টেম পুরোপুরি বিফল হয়েছে কোরোনার সামনে, এ পর্যায় শুধু সরকার কে দোষারোপ করে কোনো লাভ নেই কারণ দেশের নাগরিক হয় আমরা নিজেরাই বেহুঁশ হয় আছি।
ভারতের ক্ষমতা আর উন্নতির ইতিহাস কেউ দেখলে গর্ব করে কিতন্তু এমতবস্থায় পরিস্থিতি বেকাবু। ভারতের অৰ্থনীতি ২০২০ সালের জুলাই মাসে প্রায় -২৪ এ হ্রাস পেয়েছিলো, বর্তমানে 0.4% (Q3 20 / 21e) (জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস) অনুসারে। কোনো শক্তিশালী দেশের যদি অর্থিনীতি নড়বড় হয় তখন বৈদেশীক বাজারেও সেই দেশের সন্মান কমে। করোনার শুরুতে ভারত হিন্দু মুসলিম করেছিল, ইদানিং অনেকে কুম্ভ মেলা নিয়ে নানান মতামত প্রকাশ করছে সবাই, যেখানে অনেক কিছুই সত্য উঠে আসছে, তারপরে টান পড়ে অর্থনীতিতে, আজকে ভারতের স্বাস্থ্যে হানা দিয়েছে করোনা। ভারতের সিষ্টেম নিজেকে যতটা সুরক্ষা কেন্দ্র মধ্যে নিতে পারতো তার একছটাক সেই সময় নেয়নি।
হাসপাতাল এবং স্বাস্থকেন্দ্র কে যুদ্ধঢাল বানানোর জন্য সরকার প্রায় এক বছর পেয়েছিলো। কিন্তু সরকার এই সময় কিছু ভালো কাজ এবং মান কি বাত নিয়ে বেস্ত ছিল।
ভারতের চিত্র সারা বিশ্বকে একটা আতঙ্কের মধ্যে রেখেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল প্রতিদিনের খবর মানুষকে আরো আশঙ্কার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। শুরুথেকে 17,313,163 পসিটিভ, সুস্থ হয় 14,304,382, মৃত্যু 195,123 যে গতিতে করোনা প্রভাব ফেলছে তাতে ২ থেকে ৩ সপ্তাহে ভারত ভারসাম্যহীন হতে পারে। কিন্তু পরিস্থিতিকে কাবু পেতে এবং প্রতিবেশী দেশের সহায়তায় হয়তো ভারত মোকাবেলায় সক্ষম হবে।
করোনা নিয়ে এতটা কেউ ভাবেনি ভারতও ভাবেনি, যদি কেউ সব থেকে দ্রুত ভেবেছিলো সে হলো ইসরায়েল। যখন চীন বেকাবু ছিল তখনও অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র নেতারা অনেক সমালোচনা করেছিল, ইতালি তে যখন মৃতদেহকে সারি সারি ভাবে দাফন করা হচ্ছিলো তখনও অনেক দেশের রাষ্ট্র নেতা সমালোচনা ছাড়েনি। আজকে ভারতের এই পরিস্থিতে করোনা যতটা দায়ী তারথেকে বেশি দায়ী ভারতবাসীরাই। ভারতীয় সরকার যদি এই পরিস্থিতিকে নিয়ে কোথাও লাঞ্ছিত হন তবে সেটা তার প্রচার তন্ত্রের জন্যেই হবে।
সবার সহায়তায় যতটা সম্ভব কোরোনার বিরুদ্ধে ভারত লড়াই করছে, কিন্তু বর্তমানে যে চিত্র আমরা দেখছি তা বিশেষ করে শহরাঞ্চলে বেশি গ্রামাঞ্চলে প্রভাব নেই বললেই চলে। সংক্রমণের মাত্রা যদি গ্রামাঞ্চলে বেড়ে যায় তবে ভারত হাজার সহায়তা নিয়েও বেকাবু হতে পারে।
ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, আরো কিছু দেশ আছে যারা গ্রামাঞ্চলে ঘেরা, যে পরিমানে মানুষ শহর ছেড়ে নিজের গ্রামে পাড়ি দিচ্ছে তাতে ভালোর আভাস পাওয়া যায়না। আজকে যা মৃতের সংখ্যা আপনি দেখছেন যদি গ্রামাঞ্চলে একই অবস্থা শুরু হয় তবে মৃতের হার ১০ গুন বেড়েযাবে ভারতে। সরকারের কিচ্ছু করার থাকবেনা গ্রামাঞ্চল উন্নত হয়নি করারও দরকার নেই, ভারতের বেশকিছু জেলার অন্তর্গত গ্রামাঞ্চল গুলি থেকে হাসপাতাল প্রায় ১০/২০/৪০Km. দূরে।
শহরের সাস্থ পরিষেবাতে দেশের এই হাল আপনি হয়তো দেখেন নি অনুমান করুন আজকে গ্রামাঞ্চলের সাস্থ কেন্দ্রের কি হাল? সৃষ্টিকর্তা আর প্রকৃতি কোরোনাকে যেন গ্রামে আশ্রয় না দে নয়তো তারা শুধুই মৃত্যু পথযাত্রী হবে চিকিৎসা বহুদূরে।
দেশে IPL হচ্ছে অনেকেই দেখছে যদি গ্রামাঞ্চলে এর প্রভাব শুরু হয় তবে সত্যি পুরো বিশ্ব IPL এর মতো ভারত কে দেখবে, কেউ সহায়তার হাত বাড়াবে কেউবা সমালোচনায় বেস্ত থাকবে।
