
করোনার দাপটে জর্জরিত ভারত। সংক্রমণের সবচেয়ে প্রভাবিত অঞ্চল কলকাতা। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে কন্টেইনমেন্ট জোন। এমতাবস্থায় শরীরের জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতা বাড়াতে চিকিৎসক থেকে ডায়েটিশিয়ানরা বাতলে দিচ্ছেন অনেক খাবারের নাম ৷ উষ্ণ গরম জল, জলে হলুদ গুরো থেকে লেবুর রস, শাক-সবজি, ফল, এগুলো খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অনেকেই ৷ এর পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধের কথা বলা হচ্ছে, যা নিয়মিত খেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা৷ এরই মধ্যে শরীরে শক্তি জোগাতে ‘ইমিউনিটি সন্দেশ’ বাজারে আনার পরিকল্পনা করেছে কলকাতার বিখ্যাত মিষ্টির দোকান ‘বলরাম মল্লিক এবং রাধারমণ মল্লিক।’ ‘ইমিউনিটি সন্দেশ’ যা উপকারী ওষুধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ উপাদান এবং ছানার মিশ্রনে তৈরি করা হয়েছে। মিষ্টিপ্রিয় বাঙালির কথা ভেবে প্রতি পিসের দাম রাখা হয়েছে মাত্র ২৫ টাকা।
এই সন্দেশ তৈরি হয়েছে তুলসি, যষ্টিমধু, তেজপাতা, হলুদ, এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, জায়ফল, যৈত্রী, কেশর, কালোজিরে সহ ১১টি হার্ব ও প্রাকৃতিক মশলা দিয়ে৷ এমনকি সন্দেশে ব্যবহার করা হয়নি চিনি বা গুড়। নেই কোনো বাড়তি রং। বাজারে আসতে বেশ ভালো মতো বিক্রি হচ্ছে ‘ইমিউনিটি সন্দেশ’। এ ব্যাপারে কর্ণধার সুদীপ মল্লিক বলেন, “মিষ্টতার জন্য গুড় বা চিনি কোনোটাই ব্যবহার করা হয়নি। এই মিষ্টির জন্য আমরা ব্যবহার করেছি ‘হিমালয়ান মধু’। আর পুরে আছে ১৪ রকমের হার্বাল যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক”।
বিশেজ্ঞদের মতে করোনার সঙ্গে লড়তে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। ভারতীয় আয়ুর্বেদশাস্ত্রে শরীরে ইমিউনিটি বাড়াতে এই সব ভেষজ উপাদানগুলোর কথাই বলা আছে। তাই একটা চেষ্টা মাত্র। রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন একটা করে খেতেই পারেন। চিনি বা গুড় নেই। তাই ডায়াবেটিস রোগী বা সব ধরনের রোগীই এই ইমিউনিটি সন্দেশ খেতে পারবেন বলে জানালেন সুদীপবাবু।
