
চতুর্থ ভারতীয় গণিতজ্ঞ হিসেবে রামানুজন পুরস্কারে ভূষিত হলেন কলকাতার মেয়ে অধ্যাপক নীনা গুপ্ত। উন্নয়নশীল দেশের তরুণ গণিতজ্ঞদের জন্য প্রতি বছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। খালসা হাইস্কুলের এই প্রাক্তনীআনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে ২০২০-র ‘বছরের বেস্ট’ তালিকায় ছিলেন। ঘটনাচক্রে, ওই তালিকায় থাকা আর এক শিক্ষক সদাই ফকির (সুজিত চট্টোপাধ্যায়)-কে পরবর্তীতে ‘পদ্মশ্রী’ দিয়েছিল ভারত সরকার।
জন্ম গুজরাতে, দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই পড়াশুনা। পরে বাবার সঙ্গে কলকাতায় চলে আসেন। ডানলপের খালসা হাইস্কুলের প্রাক্তনীনীনা ছেলেবেলা থেকেই অঙ্কের পোকা। বেথুন কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর তাঁর গন্থব্য ছিল বরাহনগরআইএসআই। স্নাতকোত্তর ও পিএইচ.ডি করার পর আইএসআই-তেই অধ্যাপনা শুরু।
গবেষণায় নব দিগন্ত উন্মোচনের জন্য ৪৫ বছরের কম বয়সীদেররামানুজন পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০০৫ সাল থেকে রামানুজন পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। আন্তর্জাতিক গণিত ইউনিয়ন (আইএমইউ) ও ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই পুরস্কার দেয় ইটালিরআব্দুসসালাম আন্তর্জাতিক তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা কেন্দ্র (আইসিটিপি)।
২০১৪ সালে নীনাবীজগাণিতিক জ্যামিতির মৌলিক সমস্যা ‘জারিস্কিক্যানসেলেশনপ্রবলেম’-এর সমাধান করে ফেলেন। সেই বছরই তাঁকে ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির তরুণ বিজ্ঞানী’র পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। তাঁর সমাধানকে ‘বীজগাণিতিক জ্যামিতির ক্ষেত্রে অন্যতম
উন্নয়নশীল দেশ থেকে তরুণ গণিতজ্ঞ হিসেবে নীনা ২০২১ সালের রামানুজন পুরস্কার পেয়েছেন তাঁর ‘অ্যাফাইনঅ্যালজেব্রিকজিওমেট্রি’ এবং ‘কমিউটেটিভঅ্যালজেব্রা’য় দৃষ্টান্তমূলক কাজের জন্য।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে খবর, রামানুজন পুরস্কার পাওয়া তিনি তৃতীয় ভারতীয় মহিলা। এখনও পর্যন্ত যে চার জন এই পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁ গাণিতিক দের তিন জনই আইএসআই-এর অধ্যাপক।
