
গত বছরের মতোও এবার আগুনের মতো দাম বাড়তে পারে ডিজেল ও পেট্রোলের। কারণ বিশ্বের সবথেকে বড়ো তেল উৎপাদন সংস্থা সৌদি আরোবের আরামকোর দুটি তেলের খনির উপর জঙ্গিরা ড্রোন হানার মাধ্যমে বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এই ঘটনায় সংস্থাটির দৈনিক উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে এবং সংস্থাটি তাদের অবকাইক ও খুরায়েস প্লান্টে তেল উৎপাদন বন্ধ করে রেখেছে বলে রবিবার সে দেশের শক্তি মন্ত্রী তথা রাজকুমার আব্দুল আজিজ বিন সলমন জানিয়েছেন। আরামকোর পক্ষ হতে জানা যায় যে, দৈনিক ৫৭ লক্ষ ব্যারেল ( ১ ব্যারেল = ১৫৯ লিটার) তেল উৎপাদন বন্ধ থাকবে।
দৈনিক ৮০ লক্ষ ব্যারেল তেল শোধন করা হতো এই দুই প্লান্ট থেকে। বিশ্বের তেল উৎপাদনকরি দেশগুলির সংগঠনের মতানুসারে জানা যায় যে, প্রতিদিন ৯৮ লক্ষ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে সৌদি আরব। চীন ও ভারত সোহো এসিও দেশগুলিতে। সৌদি আরব থেকে তেলের যোগান অর্ধেক কমে যাওয়ার জন্যে সোমবারই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ৫ ডলার থেকে ৭ ডলার হতে পারে।
ব্রোকারেজ সংস্থা এমকে গ্লোবালের রিপোর্টে বলা হয়েছে যদি সৌদির আরামকোর এই দুটি প্লান্টে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় তবে এক ঝটকায় ৫ শতাংশ কমে যাবে। যদিওবা এটা নেহাৎ তুচ্ছ বেপার নয়। অতীতে দেখা গেছে এমন বৃহৎ কোনো ঘটনা ঘটলে অন্তত ১০ শতাংশ তেলেরদাম বৃদ্ধি হয়েছে। তাই আগামীকাল বাজার খুললে ব্যারেল প্রতি ৫ ডলার থেকে ৭ ডলার বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে তেলের দাম কমে আসছিলো এবং শুক্রবার প্রতি ব্যারেল ৬০.২২ ডলার ছিল। কিন্তু গত অক্টোবরে এই দাম উর্ধমুখী হয় (ব্যারেল প্রতি ৮৬ ডলার) এ পৌঁছাতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল আশঙ্কা করেছেন। আমিন নাসের আরামকোর সিও জানান যে, দুই প্লান্টকে যতো দ্রুত সম্ভম মেরামত করে উৎপাদনমুখী করে তোলা। তিনি আরো বলেন যে আগামী দুই দিনে জানানো হবে কাজের অগ্রগতি। কিন্তু কতদিনে এই প্লান্ট দুটিতে উৎপাদন শুরু করা যাবে তা নিয়ে কিছুই জানাতে সক্ষম হয়নি সৌদি অধিকারী। রয়টার্স সংবাদ সংস্থা রবিবারে জানিয়েছে যে প্লান্ট দুটিতে আগের মতো স্বাভাবিক উৎপাদন নিয়ে আস্তে প্রায় কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে।
এখানে বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো বিশ্বের তেল উৎপাদনকরি দেশগুলির মধ্যথেকে সব থেকে কম খরচে তেল উৎপাদন করে সৌদি আরব। ব্যারেল প্রতি মাত্র ২.৮ ডলার।
