মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের হার সবথেকে বেশি। এরই মধ্যে উদ্বেগকে দিগুণ হারে বাড়িয়ে দিল এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি মুম্বইয়ের ধারাভী–তে করোনা সংক্রমণে ব্যক্তির মৃত্যু।বুধবারই বছর ৫৬–র ওই ব্যক্তির মারণ ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয়। কিছুদিন আগে ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় তাঁকে মুম্বই–এর সিওন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, গতকাল তাঁর অবস্থা আশঙ্কা জনক হয় ও পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
ওই ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসা ৭ জনকে আপাতত নিজেদের বাড়িতেই কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে বলে জানাচ্ছে প্রশাসন।তাঁদের শরীরে করোনা সংক্রমণ আছে কিনা তা জানতে আজ (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা করা হবে। ইতিমধ্যে, মৃত যে বাড়িতে থাকতেন তা সিল করা হয়েছে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকা সিল করা হয়েছে।
বাকি রাজ্যগুলির তুলনায়, মহারাষ্ট্রে এর মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি এবং মৃতের হার–ও বেশি। তার মধ্যে ধারাভি বস্তির মৃত্যু ঘটনা দিগুণ হারে আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে। কারণ পাঁচ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে থাকা ওই ধারাভি বস্তি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। লক্ষ লক্ষ মানুষ সেখানে বাস করেন। এটি এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি। ফলে সেখানে সংক্রমণ ও করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর খুবই দ্রুতহারে ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
বুধবারই মুম্বইয়ে নতুন করে ৫৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি) দক্ষিণ মুম্বইয়ের ওরলি কোলিওয়াড়া এলাকা থেকে ৮৬ জনকে কোয়রান্টিনে পাঠিয়েছে। ওরলির ওই এলাকায় সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিএমসি।
দেশে বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৫০ এবং মৃত্যু হয়েছে মোট ৫০ জনের।
ঋণঃ আনন্দবাজার পত্রিকা, এনডিটিভি
