গোটা বিশ্বের কাছে এখন আশা জাগিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ইতিমধ্যেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি ‘ভ্যাকসিন’-এর প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালে সাফল্য পেয়েছে এই ভ্যাকসিন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার ফল আশানুরূপ হলেই এই ভ্যাকসিনটির উৎপাদন শুরু করবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।
তবে শীঘ্রই এই প্রতিষেধকটির ট্রায়াল শুরু করতে চায় এর উৎপাদনের দায়িত্বে থাকা বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India)। সেই মর্মে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (DCGI) কাছে অনুমতিও চাওয়া হবে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা জানান, বুস্টার-সহ টিকার দুটি ডোজেই কাজ হবে বলে প্রাথমিকভাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও দাম নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও সাধ্যের মধ্যে সেই প্রতিষেধকের দাম রাখার পরিকল্পনা করছে সেরাম।
পুনাওয়ালা বলেন, ‘আমরা একেবারে কম দামে এটা দেব। টিকার দাম ১,০০০ টাকা বা তার কম রাখা হবে। তবে আমার মতে, কোনও ভারতীয় বা অন্য দেশের কোনও মানুষকে কিনতে হবে না, কারণ সেদেশের সরকার তা কিনে নেবে এবং বিনামূল্যে দেবে।’ বলে রাখা ভাল, অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি যে প্রতিষেধকটি সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি হচ্ছে সেটির নাম ‘কোভিশিল্ড’ (Covishield)।
- করোনাকে হারিয়ে একদিনে বাংলায় সুস্থ হয়েছেন ১৬১৭ জন, মৃত আরও ৩৫
- কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মিলছে মাত্র ৩৫০০ টাকায় ১৪ দিনের ‘সেফ হোম’ পরিষেবা
শুরু থেকেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি ভ্যাকসিনটি নিয়ে আশাবাদী ছিলেন সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারতের এই সংস্থাটি। দেশের মাটিতে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে পুণের এই সংস্থা।
দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, তাঁদের তৈরি ডোজের অন্তত ৫০ শতাংশ পেতে পারেন ভারতবাসীও। তবে এটা পেতে গেলে নির্দিষ্ট একটি চুক্তি হওয়া প্রয়োজন।
চলতি বছরের মধ্যে সম্ভাব্য করোনাভাইরাস প্রতিষেধকের ৩০-৪০ লাখ ডোজ তৈরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার (কোভিশিল্ড) দামও সাধ্যের মধ্যে রাখা হবে বলে জানাল সেরাম ইন্সটিউটি অফ ইন্ডিয়া (এসআইই)। অগাস্টের শুরুতেই যাতে এই প্রতিষেধকের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করা যায় সেব্যাপারে দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অনুমতি চাইবে তাঁরা।
