
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে জানান যে ‘সোমবার থেকেই গ্রিন জোনে বেসরকারি বাস চলাচল বেবস্থা শুরু হবে। কিন্তু বাস কিছু নিয়মনীতি অনুযায়ী চলবে, তিনি জানান ২০ জনের বেশি যাত্রীকে নেওয়া যাবেনা। শুধু জেলার মধ্যেই বাস চলাচল করবে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে সামাজিক দূরত্ব মেনেই যাতায়াত করতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
লকডাউনের জেরে চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েছেন প্রত্যেকটা শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ এবং রাজ্যের বেসরকারি পরিবহণ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। গাড়ির মালিকরাও চিন্তিত অবস্থায় ছিল। এই পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সবার কথা ভেবেই রাজ্যে গঠিত টাস্ক ফোর্স লকডাউনের পরিস্থিতিতে এই নতুন সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।
সোমবার থেকেই রাজ্যের গ্রিন জোনগুলিতে বেসরকারি পরিবহন চলাচল শুরু করা যেতে পারে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতিকে সামনে রেখে আর অর্থনীতির দিক ভেবে রাজ্য সরকার লকডাউনের যেসব শর্তগুলি প্রযোজ্য আছে তা বাসকর্মীদের মানতে হবে বলে জানিয়ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আপাত পরিস্থিতিতে সবাই চরম বিপদের সম্মুখীন কিন্তু যে জায়গাগুলি পুরোপুরি সুস্থ আছে সেই এলাকাগুলিতে বেসরকারি কর্মী ও পরিবহনের মালিক কে লক্ষ করে রাজ্য সরকার বেসরকারি বাস চলাচল ছাড় দিয়েছে। কিন্তু সরকারি সব বিধি-নিষেধ মেনে বাস চলাচল করতে পারবে।
প্রত্যেককেই মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাসে যাতায়াত করতে হবে। কখনো কোনো কারণেই বাসে কখনই ২০ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। যদি এমনটা কেউ অমান্য করে তবে তার জন্যে প্রশাসন বেবস্থা নেবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান গ্রিন জোনে গাড়ি চলাচল করলেও জেলার বাইরে যাওয়া নিষেধ।
- ত্রাণ শিবির বন্ধ, ফিরে এসে মাথা লুকানোর কোনো জায়গা নেই দিল্লির দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্থদের, আশ্রয়স্থল বিন্যাস:
- করোনাভাইরাস: ছোট্ট ভুল বড়ো ক্ষতি ভারত ও প্রতিবেশী বাংলাদেশ :
- ভ্যাকসিনের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করলো বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন:
ছোটো ছোটো গ্রামকে উদ্দেশ্য করে জানান যে সোমবার থেকে পাড়ার দোকান গুলিও খোলা রাখতে পারে। সবকিছু ধীরে ধীরে শুরু হবে বলে জানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সবার আগে সামাজিক দূরত্ব মেনে। মার্কেট কমপ্লেক্সে নয় এমন ছোট দোকানগুলি সোমবার থেকে খোলা যাবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যেহেতু শহুরে এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেক্ষেত্রে পাড়ায়-পাড়ায় হার্ডওয়ার, মোবাইল রিচার্জের দোকান, বই, রং, চা, পানের দোকান ও লন্ড্রী খোলা যাবে।ফুটপাতে হকাররা বসতে পারবেনা কারণ সেখানে দশ জনের সমাগম হবে, পাড়ার ছোট দোকান খুললেও ভিড় বা কোনওরকম জমায়েত বরদাস্ত করা যাবে না বলে সাফ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সবার অসুবিধাকে লক্ষ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কেউ যদি প্রযোজ্য শর্তাবলী অনুযায়ী না চলে তবে তার জন্যে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থাও নেবে। এই চরম পরিস্থিতেও রাজ্য সরকার আমাদের কথা অসুবিধা কে লক্ষ করে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে, এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।আমাদের সকলের করণীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের কথার খেলাপি না করে চলা।
