দিল্লি: আমরা জানি গান্ধীজি আমাদের কে ছেড়ে আজকের দিনেই বিদায় নিয়েছিলেন।আজকে দুপুরে জামিয়া মিলিয়া থেকে রেলি বের হওয়ার কথা ছিল। যার জন্য পুরো এলাকাতে পুলিশ প্রটেকশন বেশ ভালো ছিল, কিন্তু রামভক্ত গোপাল নামের এক ছেলে এই ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সে জামিয়াতে পৌঁছনোর আগে নিজের ফেসবুকে লাইভ করে এমন কি যারা প্রোটেস্ট করছিলো তাদেরকেও দেখাযায় তার ফেসবুক লাইভ এ।
ঘটনার আগে রামভক্ত গোপাল এটাও পোস্ট করেন “শাহীন বাঘ খেল খাতাম” আপনারা চাইলে তার ফেসবুকে দেখতে পারেন। এর এই রকম পোস্ট আর লাইভ ভিডিও দেখেই মনে হয়ে গডসে পূনর্জন্ম নিয়েছে।
গডসে ৩০-০১-১৯৪৮, গোপাল ৩০-০১-২০২০
আমরা এই ঘটনার ভিডিওতে দেখছি গোপাল হাতে বন্দুক নিয়ে সবার সামনে নিজেকে মহান হিটলার বলে প্রমান করছে, আর দিল্লি পুলিশ এটাকে তামাশা স্বরূপ দেখছে। যতক্ষন না সে গুলি চালায় ততক্ষনে কেউ তার সামনে তাকে আটকানোর জন্যে আসেনা। কিন্তু ভিডিও আর ছবিতে দেখা যায় পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন পুলিশ কানে ফোন ধরে ছিল, যেটা থেকে সেখানকার আম জনতারা অনুমান করে বলে যে দিল্লি পুলিশ এটার সাথে ঘোরতর ভাবে জড়িত।বিজেপি চাল চালাচ্ছে আর দিল্লি পুলিশ ভক্তরা মিলে একসাথে এটিকে অনুসরণ করছে।
গোপাল যখনি গুলি চালায় তখনি অকর্মা দিল্লি পুলিশ নিজের কর্ত্তব্য পালনের কাজ শুরু করে। তাকে ছোটো বাচ্চার মতো সামলানোর জন্যে এগিয়ে এসে তাকে আগলে রেখে তাদের গাড়িতে ওঠায়। এখানে পরিষ্কার ভাবে প্রমাণিত হয়ে যে শুধু বিয়ের জন্য লগ্ন নয়, এরকম মুহূর্তেও লগ্ন প্রয়োজন যেটা দিল্লি পুলিশ প্রমান করলো।
এখানে আমার প্রশ্ন রামভক্ত গোপাল ঘটনাক্রমের আগে ফাসেবুকে পোস্ট করে “শাহীন বাঘ খেল খাতাম” আর এই পোস্ট-এ প্রায় হাজারও কমেন্ট আর লাইক দিল্লি পুলিশ কি এটা দেখতে পায়নি? নাকি পোস্ট টির প্রকৃত ছবি দেখার জন্যে অপেক্ষা করছিলো?
দালাল মিডিয়া গভর্মেন্টের থেকে শুরু করে বাজারে চুড়ি বিক্রি কারীর প্রত্যেক মিনিটের সোশালমিডিয়া ফলো করে, কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা পেরিয়ে গেলো গোপালের পোস্ট তাদের কাছে পৌঁছোলনা কেন?
ঘটনাস্থলে গুলি এক ছেলের হাত ঘেসে চলে যায় যার ফলে তার যথেষ্ট রক্ত ক্ষরণ হয়ে। পাশাপাশি অনেকের উক্তি যে আমরা আজকে বেরহবো বলেই বিজেপি সরকারের এই রামভক্ত গোপাল দেশভক্তি দেখানোর জন্যে পরিস্হিতি পর্যায় হাজির হয়েছিল।
- আরো পড়ুনঃ
- নেতাজি হিন্দু মহাসভার বিভাজনমূলক রাজনীতির বিরোধিতা করেছিলেন: মমতা
- গান্ধীজীর সময়ে দেখা সাহস, এখন দৃশ্যমান লীলা তাই চিতালে
আজকের এই ঘটনাক্রম প্রায় প্রত্যেকটা আপত্তিজনক পরিস্থিতির প্রতিচ্ছবিকে প্রকাশ করছে। এখানে জামিয়ার আগের ঘটনার ছবি সামনে আসছে, জেএনইউ -এর ছবি ভেসে আসছে, আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির ছবি ভেসে আসছে, সরকারের হিন্দু মুসলিম করার ছবি ভেসে আসছে, আর যেটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো সামনে দিল্লির ইলেকশন, আর এমতবস্থায় বিজেপি যদি তার সুভাসিল কৌশল না দেখায় তবে ভালো করেই জানে, কেজরিওয়াল ভার্সেস অমিত শাহ নয় সেটা হবে কেজরিওয়াল ভার্সেস মোদী।
সাধারণ জনগন সকারের প্রতি সহানুভূতিশীল। জনগন চায় আমারা ভোট দিয়ে সরকার বানিয়েছি যাতে আমাদের দেশের উন্নতির সাথে আমাদের ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়ে। কিন্তু বর্তমানে জনগনের ক্ষিপ্তকণ্ঠে ঘৃণাত্ব বার্তা সরকার আমাদের সাহসি না করে বিদ্রোহী করে তুলছে।
