
মাত্র ১ হাজার আলোকবর্ষ দূরে পৃথিবীর নিকটতম ব্ল্যাক-হোলের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। বুধবার ‘ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরির’ বিজ্ঞানী থমাস রিভিনিয়াস এই মন্তব্যটি তাঁর গবেষণাপত্রে প্রকাশ করেন। এই ব্ল্যাক-হোলের আকর্ষণ ক্ষমতা এতটাই বেশি যে কোনও আলোর বিচ্ছুরণ দেখতে পাওয়া যায় না। গবেষণায় জানা গেছে, অতিরিক্ত আকর্ষণ ক্ষমতার জন্যই আলো ঠিকরে বেরিয়ে আসতে পারে না, যে কারণে মহাকাশে এই ব্ল্যাক-হোলটিকে খুঁজে বের করা এখনও অবধি সম্ভব হয়নি।
বিজ্ঞানীদের মতে, দূরবীনের সাহায্যে ব্ল্যাক-হোলের সন্ধান সরাসরি কখনও পাওয়া সম্ভব নয়, কারণ এগুলি গ্যাস আর ধূলিকনা বৃদ্ধির সাথে সাথে নানা মিথস্ক্রিয়া করে থাকে এবং ওই উপাদানগুলি যখন তীব্র বিকিরণ ঘটায়, তখন এই শক্তিকে পর্যবেক্ষণ করেই ব্ল্যাক-হোলের সন্ধান পেয়ে থাকেন বিজ্ঞানীরা।
তবে এটি নিঃসন্দেহে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। বিজ্ঞানীদের মতে তাঁরা এটিকে খুঁজে বের করতে পেরেছেন দুটি তারার গতিবিধি লক্ষ্য করে। একটি তারা গর্তকে এবং অন্যটি এটির অভ্যন্তরীণ জোড়কে প্রদক্ষিণ করছে, যা অনেকটা ‘নৃত্যরত তারা’বা ‘ডান্সিং স্টার’র মত। তবে এমন অপরূপ মহাজাগতিক দৃশ্য বর্ণনাহীন বলে দাবী করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রসঙ্গত, বিজ্ঞানীরা চিলিতে একটি টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে দেখেছেন সূর্যের থেকে প্রায় সাড়ে ৪ গুণ বড় একটি নক্ষত্রকে একটি কালো বিন্দু ক্রমাগত নিজের দিকে আকর্ষণ করছে এবং বিজ্ঞানীদের অনুমান এটি ব্ল্যাকহোল ছাড়া আর কিছুই না।
প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে এটির অবস্থান অনেক দূরে কিন্তু মহা বিশ্বের স্কেলে এটি আসলে অনেকটাই কাছে। নতুন ব্ল্যাক-হোলটির আগে যদিও পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম ব্ল্যাক-হোল ছিল ৩২০০ আলোকবর্ষ দূরে।
জার্মানির গার্চিংয়ের ইউরোপীয় সাউদার্ন অবজারভেটরি (ইএসও) সংগঠনের এমেরিটাস জ্যোতির্বিদ ডিয়েট্রিচ বায়েড নতুন ব্ল্যাক হোলের সম্মন্ধে বলেছেন, “এটিকে ‘ডার্ক ব্ল্যাক-হোল’ বলা যেতে পারে, কারন এটি সত্যি কালো এবং অন্যান্য সমস্ত ব্ল্যাক-হোলগুলির থেকে সবচেয়ে নিকটবর্তী”।
