
গত ২৭ জুলাই, সোমবার জিম্বাবুয়ের হারার সেন্ট্রাল হাসপাতালে মৃত অবস্থায় সাত শিশুর জন্ম হয়। ওই শিশুদের জন্মের সময় তাদের মায়েদের জরুরি সেবার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে হাসপাতালে নানা ধরনের জটিলতা হওয়ায় তাঁরা সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
জানা গেছে, পিপিই সরঞ্জামের গুরুতর ঘাটতির পাশাপাশি ‘ইক্ল্যাম্পিয়া’ রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধ এবং জন্মের সময় রক্তক্ষরণের চিকিৎসার জন্য রক্ত সরবরাহের গুরুতর ঘাটতি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার অভাবে দেশজুড়ে নার্সরা ধর্মঘট শুরু করেছেন। ফলতঃ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের রোগীরা বিপাকে পড়েছেন। জটিল অবস্থায় থাকা প্রসূতি নারী কোনো ধরনের পরিষেবা পাচ্ছেন না এবং তার কারনেই মৃত সন্তান প্রসব করছেন। সব মিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন রোগীর পরিবার।
প্রসঙ্গত, হারার হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনা প্রথম প্রকাশ করেছিলেন ডাঃ পিটার ম্যাগোম্বেই। তিনি টুইট করে বলেন, “আমাদের অনাগত বাচ্চাসহ আমাদের ভবিষ্যত ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। দয়া করে লুটপাট বন্ধ করুন।”
- ‘নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি’ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার, ৩৪ বছরের শিক্ষানীতির আমূল পরিবর্তন
- প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, বাংলার রাজনীতিতে আরও এক যুগের অবসান
হারার সেন্ট্রাল হাসপাতালের পরিস্থিতি সম্পর্কে দুই চিকিৎসক জানান, সোমবার রাতে মোট আটটি সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়েছিল। তার মধ্যে মাত্র একজন প্রসূতির সুস্থ বাচ্চা প্রসব করেন। কিন্তু “দু’জন মায়ের জরায়ু ফেটে গিয়েছিল এবং তাদের প্রথম দিকে অপারেশন করা দরকার ছিল। অন্য অপারেশনটি বাধাগ্রস্ত শ্রমের কারণে করা হয়েছিল, তবে সময়মতো করা হয়নি তাই বাচ্চারা মারা যায়।”
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির স্বাস্থ্যখাতে বড় ধরনের কেলেঙ্কারী সামনে এসেছে। কোভিড-১৯কে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন সেক্টরে ভয়াবহ দুর্নীতি হচ্ছে। সম্প্রতি নানা ধরনের অভিযোগ ওঠায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে জিম্বাবুয়ের সোসাইটি অফ অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টরা হাসপাতালের পরিস্থিতিকে “কবর,” এবং “ভয়ংকর” বলে বর্ণনা করেছেন।
(Source: BBC)
