
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সপ্তাহে দুদিন লকডাউনের পথেই আপাতত অবিচল থাকছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অগাস্ট মাসে মোট সাতদিন সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে রাজ্যে। কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ শে অগাস্ট পর্যন্ত রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার আগামী এক মাসের জন্য লকডাউনের দিনগুলি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী-
৫ এবং ৮ অগাস্ট,
১৬ এবং ১৭ অগাস্ট,
২৩ এবং ২৪ অগাস্ট,
৩১ তারিখে রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী এও জানান যে আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। ভোর ৬ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি থাকবে। কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ শে অগাস্ট পর্যন্ত রাখা হয়েছে। এই জোনে উপরি রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নাইট কার্ফুও জারি থাকবে।
- প্রধানমন্ত্রী খান – করোনভাইরাস,ঈদ-উল আজহা, সম্পর্কে সতর্কবাণী
- শীঘ্রই চালু হচ্ছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়ামের কোয়ারেন্টিন সেন্টার
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাথমিক ভাবে অগস্টে ন’দিন পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন, পরে ধর্মীয় উৎসব এবং বিশেষ দিবস উপলক্ষে দু’দিন কমিয়ে দেওয়া হয়। পূর্ব ঘোষিত ২ এবং ৯ অগস্ট সার্বিক লকডাউন হচ্ছে না। এই দু’দিনের পরিবর্তে কোন তারিখে পূর্ণ লকডাউন হবে বা হবে কি না, জানানো হয়নি। রাখি পূর্ণিমা, বকরি ঈদ ও স্বাধীনতা দিবসকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। বিশ্ব জনজাতি দিবস থাকায় বাদ গিয়েছে ৯ অগস্ট। প্রথমে যে দিনগুলি ঘোষণা করা হয়েছিল, তাতে অগস্ট মাসে ১০ দিন সার্বিক লকডাউন হত। কিন্তু সেই সময় গণেশ পুজো এবং মহরমের দিনগুলি খেয়াল করেনি সরকার। তাই প্রথম ঘোষণা সংশোধন করে পূর্ণ লকডাউনের দিন দ্বিতীয় বার ঘোষণা করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘ক্যালেন্ডারে একটু টেকনিক্যাল মিসটেক হয়েছিল। দিনগুলো নিয়ে কিছু সংশয় হয়েছে। সেই সংশয় এড়াতে নতুন দিন ঘোষণা হচ্ছে কারণ, দু’তিনটে উৎসব পড়ে গিয়েছে। সরকারি ছুটি ছাড়া ক্যালেন্ডারে সব লেখা থাকে না।’’
স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, অগস্ট মাসে এই লকডাউন প্রক্রিয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে সেপ্টেম্বরে শিক্ষক দিবসের পর থেকে পুজো পর্যন্ত নিয়ম মেনে এক দিন অন্তর স্কুল কলেজ খোলার কথা বিবেচনা করা হবে।
সরকার এদিন জানিয়েছে, প্রতি দিন এখন ১৬-১৭ হাজার করে পরীক্ষা হচ্ছে রাজ্যে। শীঘ্রই অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও শুরু হবে। কোভিডের নমুনা পরীক্ষা যত বাড়বে, ততই বাড়তে পারে আক্রান্তের সংখ্যাও। করোনা কিংবা নন কোভিড রোগীরা চিকিৎসার জন্য টেলিমেডিসিন পরিষেবার সাহায্য নিতে পারেন। এই পরিষেবা পেতে ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২ এই নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কেউ মারা গেলে তাঁদের কোভিড পরীক্ষা করার দরকার নেই। আইসিএমআর-এর নির্দেশিকা মেনে মৃতের পরিবারকে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে।
