২০২০ সালে দিল্লির বর্তমান জনসংখ্যা ৩০,২৯১,০০০, যা ২০১৯-এর তুলনায় ৩.০৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।বিশ্বে বহু দেশ আছে যাদের থেকে দিল্লি রাজ্যে জনগণের সংখ্যা অনেক বেসি। কিন্তু ভারতের এই রাজধানীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন আসে কর্মসূত্রে। যার কারণেই দিল্লির পপুলেশন ও পলিউশন এর জন্য নাম খ্যাত। সম্ভাব্য গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে মানুষ তার স্থানাবাস থেকে বেরহয়না। পৃথিবীজুড়ে যেন নিস্তব্দের হুঁহুঁকার, যদিওবা অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত নোই কিন্তু, যা শুরু হয়েছে তাতে ভারত বিশাল সংকটের মধ্যে আছে। ভারতে আনুমানিক ৪০,০০০ ওয়ার্কিং ভেন্টিলেটর রয়েছে।হিন্দুস্তান টাইমস-এর রিপোর্ট অনুসারে-
পরিবেশ পরিবর্তন :
ডিসেম্বর থেকে করোনা ভাইরাসের উদ্মাদ শুরু হয়েছে চীন থেকে। আর আজকের দিনে google আপনাকে একটা শব্দতেই সম্পূর্ণ আপডেট দিয়ে দিবে। আমরা জানি মানুষ ছাড়া আরো অনেক জন্তু আছে যারা মাংসাশী প্রাণী, কিন্তু চিন এইটার একটা অদ্ভুদ প্রতিচ্ছবি আবিষ্কার করেছিল যেটাতে তারা প্রায় সব জানোয়ার কে নিজের পেটপালার খাদ্যবস্তু হিসাবে দেখতো। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যে প্রত্যেকটা জীবের অবদান রয়েছে, আমরা সেটা ভুলে গিয়েছিলাম। আজকের দিনে পরিবেশ আগের মতোই মুগ্ধ হাওয়া দিচ্ছে কিন্তু আমরা সেটা নিতে অক্ষম।
বাস্তুতন্ত্র আমাদের জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্ণ আমরা সেটাকে শুধুই ব্যবহার করেছি যত্ন নেয়নি। বর্তমান পরিস্থিতে প্রায় পুরো বিশ্বে সবাই যে যার আবাস স্থানে বসে রয়েছে। এটা আমাদের পরিবেশের জন্য একটা বৃহৎ সুখবর গতকালকের মতো আজ আর আমরা দুষণ ঘটাইনা বা ঘটাতে পারিনা। বায়ু দূষণ থেকে শুরু করে শব্দ দূষণ পর্যুন্ত সবকিছু হ্রাস পেয়েছে যেটা পরিবেশকে এবং পরিবেশের ক্ষমতাকে মজবুত করছে। অনিচ্ছাকৃত এই মহামারী কতদিনে যাবে আমরা জানিনা, এই মহামারী যে শুধুই মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তা নয়। আমরা যেমন সবাই সুস্থ পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল তেমনি বহু জীব জন্তু আমাদের মানুষের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিদিনের অতিরিক্ত খাবার যেটা আমরা পরিবেশের যেখানে সেখানে ফেলতাম সেটা দিয়ে অনেক জন্তু জানোয়ারের পেট ভরত, বাকিটা সার হয়ে মাটিকে উর্বর করতো।
ভারতের রাজধানী দিল্লির মতো শহরে এটার একটা বৃহৎ পরিবর্তনময় ছবি আমরা দেখতে পারি। কারণ দিল্লিতে দূষণ কে রুখতে দিল্লি সরকার কেন্দ্র সরকার অনেক কিছু করেচলেছে। আর আজকের এই ভয়ানক মহামারীতে যত মানুষ দেশের নানান প্রান্ত থেকে এসেছিলো তারা সবাই যে যার বাসস্থানে ফিরে যাচ্ছে, যেটাতে জনসংখ্যা হ্রাস পাবে। পরিবেশের জন্যে বর্জ্যপদার্থ কমে যাবে। বর্তমানে গাড়িঘোড়া থেকে শুরুকরে সাইকেল পর্যুন্ত নিষিদ্ধ দেশের রাজধানী দিল্লিতে, যেটাতে সবথেকে বেশি পরিমানে পরিবেশ দূষিত হয়ে থাকে যেমন বায়ুদূষণ, আর শব্দদূষণ, বর্তমান সময়ের কয়েকদিন আগে অর্থাৎ লক ডাউন এর আগে যে পরিমান গাড়ি চলতো তার থেকে প্রায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ গাড়ি চলছে। এটা পরিবেশ সক্ষম হওয়ার একটি বৃহৎ দিক।
চাহিদা, ব্যক্তি নিরাশা :
১- দিল্লিতে বিশেষ করে শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ বিভিন্ন যায়গায় থেকে এসে থাকে, এমতবস্থায় যদি সবাই চলে যায় তবে কাজকর্মের যে চাহিদা সেটা সম্পূর্ণ হবেনা।
২- ছোটো বড়ো সব ব্যবসায় টান পড়বে, মানুষের আর্থিক পরিস্থিতিও খামতি হতে পারে।
৩- ফাটফাট সেবা সমিতি থেকে দিল্লির কিছু জায়গায় স্বল্প খরচে পরিবহন সেবা দেওয়া হয়। সেখানকার কিছু ড্রাইভারের উক্তি যে দিল্লী থেকে যদি বাইরের সব লোকজন চলে যায় তবে আমরা নিরাশার পাত্র হবো।
