দেশের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা আজ ইতিহাস, যোজনা পরিষদ তুলে দেওয়া হয়েছে। “বাজেট কে ঘিরে আগে বড়ো জায়গা থাকতো পরিকল্পনা খাতে খরচ”।
ভারতে প্রায় ১০০ কোটি মানুষের যে পরিমান সম্পদ তার থেকে চারগুণ বেশি সম্পদ রয়েছে দেশের একশতাংস ধোনি ব্যক্তিদের হাতে।অনুমান করা হচ্ছে ভারতের যে বার্ষিক বাজেট, তার থেকেও বেশি সম্পদ রয়েছে ভারতের ৬৩ জন ধনকুমিরের হাতে।
দেশের আর্থিক বাজেট ও করের দিকদিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সক্রিয় করতে ছোট বড়ো সব ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে সরকার জিএসটি নিয়ে আসে, এই কর ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা লেগেছিলো এখনো লেগেই আছে। আগে ভারতে বাজেট আসার দিনই সরকার তার অর্থনীতি ঘোষণা করতো।কিন্তু বর্তবানে পুরো বছর ধরেই নতুন নতুন নীতি আসতেই থাকে, পরিকল্পনা বদলাতেই থাকে। লগ্নিকারীরা একটি নির্দিষ্ট নীতির আবহাওয়াকে লক্ষ করে টাকা ঢালতে চান। কিন্তু নীতি যদি বার বার পরিবর্তন হয় তাহলে তারা তাদের বিনিয়োগ নিয়ে সমস্যার মুখে দাঁড়ান।আর এই পরিস্থিতিটা কোনো লগ্নিকারীই পছন্দ করেন না।
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এক প্রতিবেদনে ভারতীয় অর্থনীতিকে ঘিরে ৬৩ জন ধোনদানব ব্যক্তির কথাও প্রকাশ করেছে।
টাইম টু কেয়ার তার শিরোনামের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পৃথিবীর ২১৫৩ জন শীর্ষ ধনী ব্যক্তির কাছে যে পরিমাণ সম্পদ গচ্ছিত রয়েছে; তা ৪৬০ কোটি সাধারণ গরিব দুঃখী মানুষের কাছে থাকা সম্পদের চেয়েও অধিক। আর এই মানুষ গুলো গোটা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ।
- আরো পড়ুন:
- বাজেট ২০২০: কর দাতারা কি বড় ছাড় পাবেন? কর কমানো হতে পারে
- দেশীয় বৃদ্ধি স্থুল হলেও অর্থনৈতিক বেবস্থা সামঞ্জস্যপূর্ণ জায়গায়। জানান রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
সামনে পহেলা (১) ফেব্রুয়ারি ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেট বরাদ্দ অর্থের থেকেও, বেশি সম্পদের মালিকানা রয়েছে দেশটির ৬৩ জন ধনীদানবের হাতে, উক্তি অক্সফামের।দিনের পর দিন এই অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রবল হচ্ছে।এমনকি অবাগ করা ঘটনা গত দশকে বিশ্বে বিলিওনিয়ারের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। যদিওবা গতবছরেই বিলিওনিয়ারদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
অক্সফাম ইন্ডিয়ার সিইও অমিতাভ বেহার বার্তাসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন গরিবের বৈষম্যকে দূর করতে গেলে, ঐচ্ছিক অসাম্য-নীতির সম্প্রসারণ করা দরকার।তা নাছাড়া ধনী-গরিবের বৈষম্য কখনোই দূর করা সম্ভব হবেনা। কিন্তু কিঞ্চিৎ দেশের সরকারই এটা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
