
বিশ্বের অর্থনীতি ধীরে ধীরে মন্দার দিকে পা বাড়াচ্ছে, ইতিমধ্যে অল্প বয়সীরা যারা আছেন, তাদের ক্ষতি আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে জানাচ্ছে জাতীয় অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর (এনবিইআর) সমীক্ষা। আমেরিকার হ্যানস শোয়ান্ট এবং টিল এম ভন ওয়াচারের লেখা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে ভয়ঙ্কর মন্দার সময় যারা স্নাতকোত্তর হয়েছিলেন, অন্যান্য সংখ্যার তুলনায় ৩০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি সবথকে বেশি।
এই এজ গ্রুপরা চাকরির বাজারে প্রবেশ করাকালীন গবেষকরা এই মৃত্যু এবং বেকারত্বকে একসাথে তুলনা করেছেন। লেখকদের মতে, বেকারত্বের হার ৩.৯ শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধি পাবে যা একজনের আয়ু ছয় থেকে নয় মাস অবধি পর্যন্ত কমাতে পারে।
আদমশুমারি, আমেরিকান কমিউনিটি সার্ভে এবং মার্কিনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপর ভিত্তি করে লেখকরা এই গবেষণা করেছেন এবং তার সঙ্গে একটি ডেটাসেট যা ১৯৬৮ সাল থেকে হওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটি মৃত্যুর তথ্য প্রদান করে।
তাঁরা বলছেন,মৃত্যুবৃদ্ধির হার বেশিরভাগ ফুসফুসের ক্যান্সার, লিভারের রোগ এবং ড্রাগ ড্রাগের সাথে যুক্ত।গবেষণার পরে তাঁরা আরও বলছেন যে মন্দা চলাকালীন যারা স্নাতক বা চাকরির বাজারে প্রবেশ করেছিলেন তাঁদের ওপর বেশ কয়েকটি দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব থাকতে পারে, যা মধ্য বয়সে প্রদর্শিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, তাঁরা জানিয়েছেন, এই ধরনের ব্যক্তিদের বিবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা কম, বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাবনা বেশি এবং নিঃসন্তান হওয়ার হারও বেশি হতে পারে।
গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন যে এই মন্দার মধ্যে চাকরির বাজারে প্রবেশের ফলে উভয় উপার্জন এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ক্ষতি হবে। এর অর্থ এই দলগুলি্র সময়ের সাথে সম্পদও কম হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। তাঁদের মতে মন্দার সময় কাজের বাজারে প্রবেশ, ব্যয় এবং ক্ষতির হার বৃদ্ধি করতে পারে ও বোঝার আগেই আরও দীর্ঘমেয়াদী এবং বৃহত্তর হতে পারে।
Source: Livemint
