আমফানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলা পরিদর্শনে আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ১০;৪৫ নাগাদ রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কলকাতা বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়,বাবুল সুপ্রিয় সহ ইত্যাদি দলীয় নেতা নেত্রী ।
এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাথে নিয়ে আকাশপথে বিধ্বস্ত জেলাগুলির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর তিনি প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবার জন্য বসিরহাটের দিকে রওনা হন।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে এলাকা পরিদর্শনের সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান, বাবুল সুপ্রিয়, প্রতাপ চন্দ্র সারেঙ্গী, দেবশ্রী চৌধুরী, রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী আজ আকাশপথে রাজারহাট, গোসাবা, মিনাখা, হাসনাবাদ, কুলতলী, ডায়মন্ডহারবার, সন্দেশখালি এবং হিঙ্গলগঞ্জ সহ রাজ্যের এলাকা পরিদর্শন করেন। বসিরহাট কলেজের মাঠে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামে। রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং উত্তর ২৪ পরগনার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও পর্যালোচনা করে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার জন্য রাজ্যকে ১ হাজার কোটি টাকা অর্থ সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও পরবর্তীকালে প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য করা হবে বলে তিনি জানান।
রাজ্য সরকারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মন্ত্র ও ঘূর্ণিঝড়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মন্ত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই সময় রাজনীতি না করে মানবিক হয়ে বাংলার পাশে দাঁড়াবে কেন্দ্র”।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘জাতীয় বিপর্যয়ের থেকে এর প্রভাব বেশি। প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়ে গেছে’। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাবুল সুপ্রিয়র মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে সাহায্যের টাকা দুর্গতদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি দেওয়ার আর্জি জানান। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ১ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এটি এখনো স্পষ্ট নয়। অবশ্য, প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, “পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, এটা অগ্রিম হতেও পারে।” এরপর তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে আসেন এবং সেখান থেকেই আবার ওড়িশার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের উদ্দশ্যে রওনা দেন।
