
শনিবার দুপুরে কলকাতার রাজভবনে নেমেই প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক করেন।মমতা বন্দোপাধ্যায়ে বলেছে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শহরে তাই সাক্ষাৎ করা। মমতা বন্দোপাধ্যায় যেভাবে নিজের শহর ও শহরের বাইরে এনআরসি, এনপিআর, সিএএ– এর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে তা আমাদের সবার কাছে উদ্ভুদ। তিনি আজকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখমুখি আবারো বললেন এই রাজ্যের মানুষ সিএএ-কে মানছেনা। এটা নিয়ে সরকার কে আরো মনোশান্তিপূর্ণ ভাবে বিস্তারিত ভাবা উচিত। এবিষয়ে কথা বলতে প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে দিল্লি আস্তে আহব্বান জানিয়েছে। অপেক্ষারত অনেক সাংবাদিক রাজভবনের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় সাংবাদিকগণের মুখমুখি উপরিউক্ত কথাগুলি প্রকাশ করেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী দুদিনের বায়ু সফরে শনিবার দুপুরে কলকাতায় পৌঁছান, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগতমধনী দেয়ার জন্যে বিমানবন্দরে পৌঁছান। তাছাড়া কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হেকিমও ছিলেন। রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সম্মানীয় বেক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সফল আসংখ্যা ছিল যে প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে কোনো বিক্ষোভ এখানে দেখা দিবে কিনা ? কিন্তু বিমান বন্দর থেকে বাইরে আসা মাত্রই দেখাগেলো বহু মানুষ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে।
বন্দর থেকে শুরু করে রাজভবন পর্যুন্ত চলছিল বিক্ষোভকারীদের প্রদর্শন।শতাধিক বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের মধ্যেও বহু প্রতিবাদিক বেক্তিও নজরে পড়ে। আজকের এই বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর আরো যে কর্মসূচি রয়েছে শনিবার রবিবার মিলিয়ে মঞ্চগুলিতে ভাগ দেখা যেতে পারে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে, তৃণমূল কংগ্রেসের সূত্রে প্রকাশ্য। অন্যদিকে কলকাতা পুলিশ কোনোরকম কোনো কসুর রাখেননি প্রধানমন্ত্রীর সফরের নিশ্ছিদ্র করতে। এনআরসি সিএএ এনপিআর এগুলো নিয়ে কলকাতা ভীষণ উত্তপ্ত। প্রধানমন্ত্রীকে গো ব্যাক প্লেকার্ড দেখানোর সূত্র বানিয়েছে আন্দোলনকারী কয়েকটি সিঙ্গঠন।
বিভ্রান্ত কয়েকটি তালিকা, প্রধানমন্ত্রী আসা যাওয়ার পথে বিমানবন্দর থেকে শুরু করে ররাজভবন পর্যুন্ত ছিল বিক্ষভ কারীদের প্রদর্শন, ধর্ণা, পথবোরথ কর্মসূচি। কথা টা শুনতে ফেরিওয়ালার মতো লাগলেও নবান্ন সূত্রে পুলিশ এটা জানায়।
সবথেকে বেশি সরব হয়েছেন সিএএ-র বিরোধিতা করে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি কঠোর বিরোধিতা করে বলেন যে যদি সরকার সিএএ করে তবে আমার লাশের উপরদিয়ে করতে হবে, তিনি চিৎকার করে পুরো বাংলার মানুষদের কেও বলেছেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় তার রাজ্যে সিএএ হতে দেবেনা উপরিউক্ত কথার মাধ্যমে সারা বাংলার মানুষকে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু সিএএ-র বিরোধিতা বৈঠকে কংগ্রেস রা মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকলে তিনি অনুপস্থিত। মুখ্যমন্ত্রী এই পুরো বিসয় বৃহস্পতিবারে বিস্তারিত বলেছেন। আর তার একদিন পরেই রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ। সাক্ষাতরাজনীতিতে বাংলার তুঙ্গ জল্পনা।
জানা গেছে প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি কর্মসূচির মধ্যে, নতুনকরে হাওড়াব্রিজ কে আলোকোজ্জ্বল করা হচ্ছে, সেই অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। পরেরদিন রবিবারে পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০ তম বর্ষদিবস। আরেকটি অনুষ্ঠান রয়েছে হলদিয়া বন্দরে। পাশাপাশি ২০০ তপশিলি ছাত্রীআবাস উদ্বোধন। তারপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাবেন সুন্দরবনে।
কলকাতা বন্দর কতৃপক্ষ জিনারা পেনশনভোগী তাদের জন্যে ৫০১ কোটি টাকার চেক সই করবেন নরেন্দ্র মোদী। এছাড়া কলকাতার মিষ্টি সন্ধ্যায় বেরিয়ে তিনি বেলুড় মঠ যাবেন।এরপর রাত্রিযাপন বলে প্রধানমন্ত্রীর সূত্রে খবর।
